ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

রাতের বৃষ্টিতে দুপুরেও দুর্ভোগে নগরবাসী

সরোবর প্রতিবেদক  

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩, ০৪:২৮ দুপুর  

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যায়। সড়কে জমে হাঁটু পানি। রাতের বৃষ্টির পর ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও নগরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পায়নি। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অলিগলিতে পানি জমে আছে। অনেক দোকানপাটই বন্ধ রয়েছে। অনেকে বাসাবাড়িতে আটকা পড়েছেন। অনেকে আবার বাধ্য হয়েই ময়লা পানি মাড়িয়ে ছুটছেন কর্মস্থলে।

এদিন পুরান ঢাকার হোসাইনী দালান রোড, নাজিমুদ্দিন রোড, চাঁনখারপুল লেন ও নিমতলী এলাকা ঘুরে জলাবদ্ধতার এমন চিত্রই দেখা গেছে। আগের রাতের বৃষ্টিতে পরদিন দুপুরেও পানিবন্দি পুরান ঢাকার মানুষ।

নাজিমুদ্দিন রোড এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পানিতে সড়কের পাশে জমিয়ে রাখা ময়লা-আবর্জনা ও ড্রেনের ময়লা একাকার হয়ে গেছে। রাত থেকে নোংরা পানি মাড়িয়েই চলাচল করছেন মানুষ। রাস্তার দুপাশের অধিকাংশ দোকানে পানি ঢুকেছে।

সেখানে চাঁনখারপুল লেনের একজন বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় বৃষ্টি হলেই পানি জমে। পানি নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা নেই। যে কারণে বৃষ্টির পানি দ্রুত সরতে পারে না।

হোসাইনী দালাল রোডে গিয়ে দেখা যায়, বৃষ্টির পর ১৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও জলাবদ্ধতা কমেনি। পানি সরছে না প্রধান সড়ক থেকে। সেখানে বিভিন্ন বয়সের মানুষ ময়লা পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে। নিয়মিত ময়লা পরিষ্কার করলে জলাবদ্ধতা হতো না। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীলদের এ বিষয়ে আরো তদারকি করা দরকার।

সকালে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকার জলাবদ্ধতা পরিদর্শন করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের এক কর্মচারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘুরে ঘুরে দেখছি পানি কোথায় জমা আছে। পানি দ্রুত নামছে। বৃষ্টি বেশি হওয়ায় পানি নামতে কিছুটা দেরি হচ্ছে। শুধু আমাদের ওয়ার্ডেই নয়, ঢাকা সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে এখনো পানি জমে আছে।

দৈনিক সরোবর/এএস