যে দেশে আইফোন ১৬ ব্যবহার নিষিদ্ধ
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ০৭:২০ বিকাল
আইফোন ১৬ নিয়ে বিশ্বের প্রয় সব দেশেই উন্মাদনা চলছে এখন। কিছুদিন আগেই বহুল প্রতীক্ষিত আইফোন ১৬ লঞ্চ করলো নির্মাতা সংস্থা অ্যাপল। প্রত্যেক সিরিজের মতোই এই সিরিজেও মোট ৪টি মডেল রয়েছে। সেগুলো হলো আইফোন ১৬, আইফোন ১৬ প্লাস, আইফোন ১৬ প্রো আর আইফোন ১৬ প্রো ম্যাক্স। এরই মধ্যে অনেকেই কিনেছেন শখের আইফোন ১৬।
তবে আইফোন ১৬ ব্যবহার এমনকি কেনা-বেচাও নিষিদ্ধ করেছে একটি দেশ। এমনকি বাইরে থেকেও কেউ কিনে আনতে পারবেন না ফোনটি। কেউ লুকিয়ে ব্যবহার করতে গেলে পুলিশের হাতে ধরা পড়লে জেল জরিমানাও হবে তার। দেশটি হচ্ছে ইন্দোনেশিয়া। এই খবরে অনেকেই অবাক হচ্ছেন। সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার শিল্পমন্ত্রী অ্যাগাস গুমিওয়াং কর্তাসস্মিতা এমনটাই জানিয়েছেন। তবে এমন কঠোর নিষেধাজ্ঞার অবশ্য কারণও আছে।
মূলত এই নিষেধাজ্ঞার কারণ হলো ইন্দোনেশিয়ায় অ্যাপলের অসম্পূর্ণ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি। অর্থাৎ টেক জায়ান্ট অ্যাপল একসময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে ইন্দোনেশিয়ায় মোট ১.৭১ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহ্ বিনিয়োগ করবে, তার মধ্যে ১.৪৮ ট্রিলিয়ন রুপিয়াহ্ কেবল বিনিয়োগ করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। এখনও বাকি রয়েছে ২৩০ বিলিয়ন রুপিয়াহ্।
অ্যাগাস গুমিওয়াং জানিয়েছেন, যে আইফোন ১৬-র অনুমোদন তারা এখনো দিতে পারেন, কিন্তু অ্যাপলের বিনিয়োগও দেশে বাকি রয়েছে অনেকটাই। এর আগে অ্যাপলের কাছ থেকে আরও বিনিয়োগ আসার কথা রয়েছে, ফলে এখনো টিকেডিএন সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়নি। তাই এখন দেশে আইফোন ১৬ বিক্রি করা যাবে না।
টিকেডিএন সার্টিফিকেশন হলো ডোমেস্টিক কম্পোনেন্ট লেভেল সার্টিফিকেশন যার মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়াতে অ্যাপলের পণ্য বিক্রি করতে হলে সংস্থাকে ন্যূনতম ৪০ শতাংশ স্থানীয় কনটেন্ট ভ্যালুর দরকার পড়বে। অ্যাপল ইন্দোনেশিয়ায় যে রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এই সার্টিফিকেশন সরাসরি এর সঙ্গেই যুক্ত। দেশে তৈরি হওয়ার কথা ছিল অ্যাপল অ্যাকাডেমিক্স।
মূলত এসব কারণেই সেদেশের সরকার আইফোন ১৬ তাদের বাজারে বিক্রির অনুমতি দিচ্ছে না। তবে আগামীতে এমন সিদ্ধান্ত থাকবে নাকি টেক জায়ান্ট অ্যাপল সব বিনিয়োগ পরিশোধ করে ইন্দোনেশিয়ার অভিমান ভাঙাতে পারে তা এখন দেখার পালা। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
দৈনিক সরোবর/এমই