বৃষ্টির দুশ্চিন্তায় দিন শেষ, জয়ের আসায় বাংলাদেশ
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০২, ২০২৪, ০৭:২১ বিকাল
দ্রুত রান তুলছিলেন ওপেনার জাকির হাসান। তার ব্যাট চালিয়ে খেলার কারণ অনুমেয়। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বিকেল থেকে রাওয়ালপিন্ডির আকাশে মেঘ ছিল। ছিল বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির শঙ্কা আছে সোমবার টেস্টের পঞ্চম দিনও। রান যতটা এগিয়ে নেওয়া যায়, এই চিন্তায় বাংলাদেশ ওয়ানডের মতো করে ৭ ওভার ব্যাট করে কোন উইকেট না হারিয়ে ৪২ রান তুলতেই বৃষ্টি নামে। দিনের প্রায় একটা সেশন আর মাঠে গড়ায়নি।
জাকির ২৩ বলে দুটি চার ও এক ছক্কায় ৩১ রান করেছেন। তার সঙ্গী সাদমান ৯ রান নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করবেন। জয়ের জন্য বাংলাদেশের এখনও করতে হবে ১৪৩ রান।
তবে রানের চেয়ে চিন্তা পিন্ডির আবহাওয়া পূর্বাভাস নিয়ে। সেখান রাত থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। স্থানীয় সময় সকাল ১০-১১টা পর্যন্ত থাকতে পারে বৃষ্টি। তবে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মেঘ থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। রাত ও সকালের বৃষ্টির পর রাওয়ালপিন্ডিতে আধুনিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় পঞ্চম দিনের খেলা ঠিকঠাক হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এর আগে ভারী বৃষ্টির কারণে টেস্টের প্রথম দিন পরিত্যক্ত হয়ে যায়।
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় এই টেস্টে বাংলাদেশ টস জিতে বোলিং নেয়। পাকিস্তানকে প্রথম ইনিংসে ২৭৪ রানে আটকে রাখেন মেহেদী মিরাজ, তাসকিন আহমেদরা। মিরাজ ৫টি ও টেস্টে ফেরা তাসকিন নেন ৩ উইকেট। ওই ইনিংসে পাকিস্তানের ওপেনার সাইম আইয়ূব ৫৮ ও অধিনায়ক শান মাসুদ ৫৭ রান করেন। আগা সালমান ৫৪ রান যোগ করেন। এছাড়া বাবর আজম ৩১ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ২৯ রানের ইনিংস খেলেন।
জবাব দিতে নেমে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ২৬ রানে ৬ উইকেট হারায়। ধসে যাওয়ার শঙ্কা থেকে লিটন দাস ও মেহেদী মিরাজ ১৬৫ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন। মিরাজ ৭৮ রান করে ফিরে যান। লিটন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির ইনিংসটা নিয়ে যান ১৩৮ রানে। তার ব্যাট থেকে ১৩টি চার ও চারটি ছক্কার শট আসে। তাদের দৃঢ়তার পরও ১২ রানের লিড নেয় পাকিস্তান।
দ্বিতীয় ইনিংসে আবার দুর্দান্ত বোলিং করে বাংলাদেশ। পাকিস্তানকে আটকে দেয় ১৭২ রানে। ১২ রানের লিড যোগ করে ১৮৫ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। ওই ইনিংসে পাকিস্তানের সাইম ২০ ও মাসুদ ২৮ রান করেন। রিজওয়ান ৪৩ ও আঘা সালমান ৪৭ রান যোগ করেন। তাদের ধসিয়ে দেওয়ার কাজটা করেন পেসাররা। ১০ উইকেটই তুলে নেন বাংলাদেশের তিন পেসার। এর মধ্যে হাসান মাহমুদ টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট নেন। তরুণ ও গতিময় পেসার নাহিদ রানা নেন ৪ উইকেট। বাকি উইকেটটি দখল করেন তাসকিন আহমেদ।
দৈনিক সরোবর/এমই