ঢাকা, শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

স্বপ্ন মুমিন ব্যাক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

সরোবর ডেস্ক

 প্রকাশিত: নভেম্বর ২০, ২০২৩, ০৬:২৬ বিকাল  

ছবি: ইন্টারনেট

স্বপ্ন মুমিন ব্যাক্তির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; সেটি ভালো বা খারাপ হোক। মহানবী (স.) উম্মতকে স্বপ্ন দেখার পর কিছু করণীয় জানিয়ে দিয়েছেন। তা মেনে চলার মধ্যে রয়েছে কল্যাণ। 

যদি কেউ ভালো স্বপ্ন দেখে, তাহলে তিনটি কাজ করবে— এক. আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলবে। দুই. অন্যকে সুসংবাদ হিসেবে জানাবে। তিন. স্বপ্ন এমন ব্যক্তিকে বলবে, যে তাকে ভালোবাসে। 

আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন তোমাদের কেউ এমন স্বপ্ন দেখে, যা তার ভালো লাগে, তাহলে সে বুঝে নেবে, এটা আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে। সে এ স্বপ্নের জন্য আল্লাহর প্রশংসা করবে আর অন্যকে এ ব্যাপারে জানাবে। আর যদি এমন স্বপ্ন দেখে, যা সে পছন্দ করে না, তাহলে বুঝে নেবে, এটা শয়তানের পক্ষ থেকে। তখন সে এ স্বপ্নের ক্ষতি থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং বাঁদিকে তিনবার থুতু নিক্ষেপ করবে। আর কাউকে এ স্বপ্নের কথা বলবে না। মনে রাখবে, এ স্বপ্ন তার ক্ষতি করতে পারবে না।’ (বুখারি: ৬৫৮৩)

কেউ খারাপ স্বপ্ন দেখলে বা কোনো স্বপ্ন দুশ্চিন্তায় ফেলে দিলে করণীয় সম্পর্কে নবীজির হাদিসে এসেছে—
১. এই স্বপ্নের ক্ষতি ও অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং তিনবার ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম’ পড়বে। (মুসলিম: ২২৬২) এক্ষেত্রে এই দোয়াও পড়া যায়- ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজু বিকা মিন শাররি হাজিহির রুইয়া।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে এই স্বপ্নের অনিষ্ট থেকে পরিত্রাণ চাই। 
২. বাঁদিকে তিনবার থুতু নিক্ষেপ করবে। (মুসলিম: ২২৬১) 
৩. যে কাতে ঘুমিয়ে খারাপ স্বপ্ন দেখেছে, তা পরিবর্তন করে অন্য কাতে শুতে হবে। (মুসলিম: ২২৬২)। অবস্থা বদলে দেওয়ার ইঙ্গিতস্বরূপ এটা করা হয়ে থাকে।
৪. খারাপ স্বপ্ন দেখলে কারো কাছে বলবে না। আর নিজেও এর ব্যাখ্যা করতে চেষ্টা করবে না। (বুখারি: ৬৫৮৩) 
৫. স্বপ্ন দেখার পর ঘুম ভেঙে গেলে উঠে দুই রাকাত নামাজ পড়বে। (মুসলিম: ২২৬৩)

মানুষের স্বভাব হলো- কোনো স্বপ্ন দেখলেই প্রিয়জনের কাছে তা বলে বেড়ানো। অথচ সবার কাছে স্বপ্নের কথা বলে দেওয়া উচিত নয়। আবার অন্যদের খুশি করার জন্যও অনেকে বানিয়ে বানিয়ে স্বপ্ন বর্ণনা করে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো, কোনো ব্যক্তি নিজেকে তার পিতা ছাড়া অন্যের সন্তান বলে দাবি করা। যে স্বপ্ন সে দেখেনি তা বর্ণনা করা। আর রাসুলুল্লাহ (স.) যা বলেননি, তা তাঁর সম্পর্কে বলে বেড়ানো।’ (বুখারি: ৩৫০৯)

দৈনিক সরোবর/এনএ