ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬ আশ্বিন ১৪৩০

১৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি এক দফার নতুন কর্মসূচি দেবে

সরোবর প্রতিবেদক  

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৩:৩০ দুপুর  

বর্তমান সরকারের পদত্যাগ,নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং সংসদ বিলুপ্তির এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে রয়েছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে ধারাবাহিক কর্মসূচি দিচ্ছে দলটি। আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে  আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শুক্রবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটিই জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সরকার পতনের যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিক নতুন কর্মসূচি ১৮ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে।

এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় সবশেষ ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় গণমিছিল করে বিএনপি। সরকারবিরোধী বিভিন্ন দল, জোট ও বিএনপির সমমনারাও নিজ নিজ অবস্থান থেকে এ কর্মসূচি পালন করে। সেটি ছিল সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনের বিএনপির ষষ্ঠ কর্মসূচি।

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- ‘নির্বাচন নিয়ে কথা হচ্ছে কেন?’ এটা শুনে আমরা অবাক হয়েছি। আওয়ামী লীগকে গত দুটি নির্বাচন কারচুপির মাধ্যমে করতে হয়েছে। দেশে এখন গোটা ব্যবস্থা একটি দলকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে এখন প্রমাণিত দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্য বিএনপি এক দফা দিয়েছে। সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, দয়া করে সাধারণ মানুষের কথা পড়ুন। এখনো সময় আছে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। প্রতিহিংসা, অহংকার ছেড়ে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন।

মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে। সরকার একটি গণ্ডির মধ্যে আছে, আশপাশের মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। সরকার আবার নতুন করে গায়েবি মামলা শুরু করেছে, বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা আদালতে হাজিরা দিতে ব্যস্ত। নেতাকর্মীরা কেউ বাসায় থাকতে পারছে না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ পুরোপুরি সরকারের নিয়ন্ত্রণে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করা হয়েছে। কোথাও ন্যায়বিচার মিলছে না।

বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান শুভ্র ও সংগঠনটির পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পার্লামেন্টে রেজুলেশন আনা হয়েছে, সাজা প্রত্যাহারের কথা বলেছে। বাংলাদেশে মানবাধিকার, গণতন্ত্র নেই- সে কথাও তুলে ধরেছে ইইউ পার্লামেন্টে।

আদিলুর ও এলানের সাজা প্রত্যাহারের দাবি করে ফখরুল বলেন, গুম-নির্যাতনের তথ্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরায়, সোচ্চার থাকায় আদিলুর রহমান খানকে সাজা দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট আরো ভয়াবহ। দমবন্ধ পরিবেশ চলছে। এ থেকে মুক্ত হতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

দৈনিক সরোবর/এএস