ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

৩০০ আসনে প্রার্থী দেবেন প্রগতিশীল ইসলামী জোট

সরোবর প্রতিবেদক  

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৫:৩১ বিকাল  

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রগতিশীল ইসলামী জোট আত্মপ্রকাশ করেছে। বুধবার সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালের নেতৃত্বে ১৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত নতুন এই জোটের আত্মপ্রকাশ হয়। আসন্ন নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবেন বলে জানান, জোটের নেতারা।

জোটের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালকে। এ ছাড়া জোটের শরিক দলগুলোর চেয়ারম্যানরা কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এম এ আউয়াল ২০১৪ সালে তরিকত ফেডারেশন থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে লক্ষ্মীপুর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন। পরে অবশ্য ২০১৮ সালে তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিবের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে তিনি ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি গঠন করেন।

এম এ আউয়াল বলেন, আমরা ইতিমধ্যে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য কার্যক্রম শুরু করেছি। প্রগতিশীল ইসলামী জোট গঠনের আগে প্রায় দেড় বছর ধরে সমমনা ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি। নির্বাচন সামনে রেখে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জোট ঘোষণা করছি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা এখন আর সংবিধানে নেই জানিয়ে এম এ আউয়াল বলেন, সংবিধানে যে জিনিসটা নেই, সেটার অধীনে কীভাবে আবার নির্বাচন হবে? সেটা আমার বোধগম্য নয়। আমরা মনে করি, দেশের সংবিধানের মালিক দেশের জনগণ। সংবিধানই মানুষকে সুরক্ষা দিচ্ছে। এই সংবিধানের আলোকেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে প্রগতিশীল ইসলামিক জোট অংশগ্রহণ করবে।

নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা করবে জানিয়ে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, নির্বাচন কখনো সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে আইন আছে, সেটি যদি তারা যথাযথভাবে প্রয়োগ করেন, তাহলে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তারা সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকবে না, তারা তো স্বাধীন। সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সেটা প্রয়োগ করলেই সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব।

জোটের সমন্বয়কারী ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি-জামায়াতসহ কোনো কোনো দল এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশের জনগণ সেই ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। বিশ্বে নির্বাচন বর্জন যেখানে বিরল, সেখানে গণতন্ত্র ও সাংবিধানিকতাকে ব্যাপকভাবে ক্ষতির মুখে ফেলে দিয়ে নির্বাচন বর্জনের বক্তব্য গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করারই নামান্তর।

ভোটের আগে আউয়ালের নেতৃত্বে নতুন ইসলামী জোটের আত্মপ্রকাশভোটের আগে আউয়ালের নেতৃত্বে নতুন ইসলামী জোটের আত্মপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাংবিধানিক শাসনক্ষমতা ও উন্নয়নের দিগন্তবিস্তারি প্রসার আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে জানিয়ে জোটের সমন্বয়কারী বলেন, এই লড়াই ও সংগ্রামকে আরও তাৎপর্যমণ্ডিত করতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রত্যয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট প্রগতিশীল ইসলামী জোট আত্মপ্রকাশ করছে।

দৈনিক সরোবর/এএস