ঢাকা, শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে অনুসরণ করা হবে মার্কিন ভিসানীতি: শাহরিয়ার

সরোবর প্রতিবেদক 

 প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩, ০৮:৫৫ রাত  

ছবি: সংগৃহীত

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, মার্কিন নতুন ভিসা নীতির যথেচ্ছ প্রয়োগ অবশ্যই আশা করি তাদের উদ্দেশ্য নয়। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণাটিকে দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব পর্যায়ে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সরকারের দ্ব্যর্থহীন প্রতিশ্রুতির প্রেক্ষাপটে বিবেচনা করছে। তবে বাংলাদেশ আশা করে যে এ ভিসা নীতি যথেচ্ছভাবে প্রয়োগের পরিবর্তে বস্তুনিষ্ঠতার সঙ্গে অনুসরণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মে মাসের ৩ তারিখ একটি বৈঠকে এটি মৌখিকভাবে জানিয়েছিল। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের অনুরোধ করেছিল এটা যাতে আমরা প্রকাশ না করি। কারণ তারা এটিকে এমনভাবে প্রকাশ করতে চেয়েছে তাদের বার্তাটি যেন ভুল না যায়। এবং আমরা অপেক্ষা করছিলাম তারা কবে সেটি ঘোষণা করবে। তাদের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সেটি ঘোষণা করবেন। এবং সেভাবেই অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন টুইট করার পর বাকি অ্যাকশনগুলো আমরা দেখেছি। তাদের সঙ্গে ৩ তারিখের পর বৈঠক হয়েছে, সেখানে বলা হয় বিষয়টি যখন ঘোষণা করা হবে সেটি যেন সঠিকভাবে ধারণাটি যায়। দেড়-দুই বছর আগে যেটি হয়েছিল এটি মোটেই তা নয়। কিন্তু এটাকেও বিএনপি অপপ্রচারের চেষ্টা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক এবং রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর থেকে এটি সুস্পষ্ট যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে দেশের জনগণ অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের সুযোগ পেয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে একটি স্বাধীন, বিশ্বাসযোগ্য ও দক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সক্ষমতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২ অনুমোদিত হয়েছে। এ আইন অনুসারে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ সংবিধান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পরিচালনার সুবিধার্থে সামগ্রিক নির্বাহী যন্ত্র তার নির্দেশনার আওতাধীন থাকবে।

বাংলাদেশের জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও ভোটাধিকারের ব্যাপারে অত্যন্ত সচেতন। জনগণের রায়কে উপেক্ষা করে ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী কোনো সরকার টিকে থাকার নজির বাংলাদেশে নেই। জনগণের ভোটাধিকার আওয়ামী লীগ সরকার পবিত্র রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করে এবং এ অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দলটির কঠোর সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের ইতিহাস রয়েছে। বর্তমান সরকার শান্তিপূর্ণ ও বৈধ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার আওতায় সমাবেশ ও সংগঠনের স্বাধীনতার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে।

দৈনিক সরোবর/আরএস