ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১

খামারি সেজে প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন অনেক প্রতারক

সরোবর ডেস্ক

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪, ০৯:০৭ রাত  

আজকের পত্রিকার প্রধান শিরোনাম-৫ হাজার কোটির প্রকল্পে লুট। এখানে যে প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে, তার নাম ‘প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)’। এর ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল প্রাণিসম্পদ খাতে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, পশু-পাখির উৎপাদনশীলতা ও সর্বোপরি খামারিদের ভাগ্যোন্নয়ন।

কিন্তু প্রকল্পের টাকা যেভাবে ভাগ-বাঁটোয়ারা করা হচ্ছে, তাতে প্রকৃত খামারিদের ভাগ্যোন্নয়ন না হলেও অসাধু কর্মকর্তা ও তাদের কমিশন দিয়ে সুবিধা নেওয়া কিছু মানুষের পকেট ভারী হচ্ছে ঠিকই।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, প্রকৃত খামারিরা এই প্রকল্পের কোনও সুফল পাচ্ছেন না। অনেক প্রতারক খামারি সেজে প্রকল্পের সুবিধা নিচ্ছেন। তাদের সহযোগিতা করছেন প্রকল্পের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা। বিনিময়ে তারা টাকার ভাগ পাচ্ছেন।

ছাত্র হত্যার হোতা শতাধিক পুলিশ— এটি কালের কণ্ঠ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের ওপর পুলিশ যেভাবে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে লাশ ফেলেছিলো, তার মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছেন শতাধিক পুলিশ সদস্য।

আন্দোলনে হত্যাযজ্ঞে সরাসরি অংশ নেওয়া ও নেতৃত্বদানকারী ৯৫ জন পুলিশ সদস্যের নামে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় গত ১৩ই আগস্ট থেকে গতকাল পর্যন্ত ২৮৪টি মামলা করা হয়েছে। যার মাঝে সবচেয়ে বেশি মামলা করা হয়েছে যাত্রাবাড়ী থানায়, ৯১টি।

তবে এ পর্যন্ত ৯৫ জনের নামে মামলা হলেও আরও বেশ কিছু পুলিশ সদস্যের নামে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকা ও মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করার দায়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

এদিকে, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উত্তরা ও কচুক্ষেত থেকে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনকে একাধিক মামলায় গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। তাদের দু’জনের বিরুদ্ধেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যার অভিযোগে হত্যা মামলা করা হয়। এছাড়া, তাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগও আছে।

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও চার মামলার প্রস্তুতি ছিল দুদকে—এটি মানবজমিন পত্রিকার একটি প্রতিবেদন। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলার বিষয় আলচিত হয়েছে এখানে।

দুদকের অন্য মামলাগুলো যেখানে বছরের পর বছর আশার আলো দেখে না, সেখানে মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে করা ওই মামলার কার্যক্রম চলে বিদ্যুৎগতিতে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে দুদক তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে শুরু হয়ে যায় বিচারকার্যও।

কিন্তু হঠাৎ গত পাঁচই অগাস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। আটই অগাস্ট অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং ১১ই অগাস্ট তার বিরুদ্ধে করা দুদকের মামলা প্রত্যাহার করা হয়। ৫ অগাস্টের আগে আওয়ামী লীগ সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার তৎপরতায় দুদক অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছিলো বলে জানা যায়। এসব মামলায় তার পরিবারের সদস্যদের জড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু প্রেক্ষাপট বদলে যাওয়ায় ওইসব মামলার ভবিষ্যৎ শেষ হয়ে যায়।

দুদক সূত্র জানায়, অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে দায়ের করা আগের মামলাটিও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রেসক্রিপশনে করেছিল দুদক। ইতিহাস: পাকিস্তানকে ওয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ জয়— এটি সংবাদের প্রধান শিরোনাম।
পাকিস্তানের মাটিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজে জয় লাভ করেছে। এই প্রতিবেদনটি সে সম্পর্কেই।

২-০ ব্যবধানে জেতা এই সিরিজের আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও টেস্ট ম্যাচে জয়ের রেকর্ড নেই বাংলাদেশের। আর পাকিস্তানও ঘরের মাঠে এবার দ্বিতীয়বারের মতো টেস্ট সিরিজে ওয়াইটওয়াশের শিকার হলো। এর আগে ২০২২ সালে নিজের মাটিতে তারা ইংল্যান্ডের সাথে প্রথমবারের মতো ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিলো।

বাংলাদেশ এর আগে দেশের বাইরে টেস্ট সিরিজ জিতেছে ২০০৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই দলটি পূর্ণশক্তির ছিল না।

টেস্ট সিরিজ জয়ের এই খবরটি আজ দেশের প্রায় সব পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। Take urgent steps to ensure security—ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে শিল্পকারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধিদল।

চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে সাভার ও গাজীপুরে শ্রমিকদের বিক্ষোভ হচ্ছে। এতে করে কারখানাগুলোতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

বিক্ষোভের কারণে গতকাল মঙ্গলবারও আশুলিয়াতে অন্তত ৫০টি কারখানা বন্ধ ছিল বলে জানিয়েছে শিল্প পুলিশ। তার আগের দিন সোমবার এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১০০টি। ভুল ধরিয়ে দিতে গণমাধ্যমকে সোচ্চার থাকার আহ্বান— দৈনিক প্রথম আলোর প্রথম পাতার একটি শিরোনাম এটি।

গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের একটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে আলোচিত নানাবিধ বিষয় এই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

যেসব কালাকানুন স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য অন্তরায়, সেগুলো বাতিল করার দাবি জানিয়েছেন সংবাদপত্রের সম্পাদকেরা।

একই সঙ্গে, দেড় ঘণ্টাব্যাপী ওই বৈঠকে স্বাধীন গণমাধ্যম কমিশন গঠন, সংবিধান সংস্কারে কমিশন, ব্যাংকিং খাত সংস্কারে কমিশন, সুশাসন প্রতিষ্ঠাসহ বিভিন্ন পর্যায়ে সংস্কারেরও প্রস্তাব করেছেন তারা।

তখন প্রধান উপদেষ্টা বলেন, তিনি সত্যিকার অর্থে সক্রিয় (ভাইব্র্যান্ট) গণমাধ্যম চান। সত্যিকার অর্থে তিনি গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন।

আর এই সক্রিয় গণমাধ্যমের জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তা–ই করবেন। প্রধান উপদেষ্টা সরকার পরিচালনায় ভুলত্রুটি ধরিয়ে দিতেও গণমাধ্যমকে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

মামলায় নানা অসংগতি, মনগড়া এজাহার— সমকাল পত্রিকার দ্বিতীয় প্রধান শিরোনাম এটি। এখানে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পটভূমিতে করা বেশ কিছু মামলার এজাহার ঘেঁটে এমন নানা অসংগতি পেয়েছে সমকাল।

যেমন, মামলায় দেখা গেছে যে দেশের বাইরে থেকেও কেউ কেউ ‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে গুলি ছুড়ে’ হয়েছেন মর্মে অভিযুক্ত।

দুই স্থানে একই সময়ের ঘটনায় করা আলাদা মামলায় উঠেছে অভিন্ন আসামির নাম। কিছু মামলায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আসামি হিসেবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীর নামও।

যেমন খুশি তেমন মনগড়া মামলায় আসামি হয়ে অস্বস্তিতে পড়েছেন নিরপরাধ অনেক ব্যক্তি।

এমনকি মামলায় জড়িয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এসব কারণে কিছু মামলার এজাহার হয়ে গেছে বেশ দুর্বল।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এসব অসংগতি ও কমজোরি এজাহারের কারণে অভিযোগের সত্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং সুবিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী পরিবার বঞ্চিত হতে পারে। সবচেয়ে বেশি অর্থের কাজ পেয়েছে ম্যাক্স তমা এনডিই— এটি বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এখানে বলা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে উন্নয়ন বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেত পরিবহন ও যোগাযোগ অবকাঠামো খাত।

নতুন সড়ক, সেতু, রেলপথ নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। খাতটিতে বিভিন্ন বিদেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করেছেন স্থানীয় ঠিকাদাররাও।

গত দেড় দশকে স্থানীয় ঠিকাদারদের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সবচেয়ে বেশি টাকার কাজ করেছে ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও তমা কনস্ট্রাকশন।

অন্যদিকে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরে শীর্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড (এনডিই)।

তালিকার শীর্ষ দশের মধ্যে থাকা অন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো হলো রানা বিল্ডার্স, হাসান টেকনো বিল্ডার্স, মোজাহার এন্টারপ্রাইজ, ময়েনউদ্দিন (বাঁশি) লিমিটেড, মাসুদ হাইটেক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড, স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ার্স ও মুহাম্মদ আমিনুল হক।

বণিক বার্তা

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ আগারওয়ালা গ্রেপ্তার— এটি দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রথম পাতার একটি খবর।

এতে বলা হচ্ছে, জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দিলীপ কুমার আগারওয়ালাকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।

ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগারওয়ালা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলার আসামি। ওই হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

দেশের স্বর্ণালংকার ও ডায়মন্ড বিক্রির শীর্ষ প্রতিষ্ঠান ‘ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড’ আসল ডায়মন্ডের বদলে উন্নতমানের কাচ বিক্রির তথ্য সম্প্রতি ফাঁস হয়।

প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অন্তত ২৫ হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে— নয়া দিগন্ত পত্রিকার প্রথম পাতার খবর এটি।

সরকারের তথ্য, সম্প্রচার ও টেলিকমিউনিকেশন বিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারের ব্যাপারে কথা বলেছেন।

গতকাল তিনি এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেন, শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আছেন। সেখানে তিনি কী স্ট্যাটাস নিয়ে আছেন আমরা জানি না।এ বিষয়ে আমরা কূটনৈতিক পর্যায়ে ভারতের সাথে যোগাযোগ রাখছি। দেশে ট্রাইব্যুনালেই তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। সেই বিচার যাতে আর্ন্তজাতিক মানের হয় তা অবশ্য নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরো জানান, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্ত চলছে।ইতোমধ্যে আমরা নিশ্চিত হয়েছি শিশুসহ আট শতাধিক ছাত্রজনতাকে শহীদ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজারের মতো আহতের তালিকা তৈরি হয়েছে। আরও কাজ চলছে। সূত্র: বিবিসি নিউজ বাংলা

দৈনিক সরোবর/এএস