ঢাকা, শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

বইমেলার বাড়তি আকর্ষণ, মুহূর্তেই কাগজে ফুটিয়ে তোলেন অবয়ব

সরোবর প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০১:১২ রাত  

ছবি: সংগৃহীত

অমর একুশে বইমেলা-২০২৩ এর শেষদিকে সাধারণ কর্মদিবসেও দর্শনার্থীদের আনাগোনা বেশ বেড়েছে। অফিস ও অন্যান্য ব্যস্ততার ফাঁকে সবাই একবার হলেও কমবেশি সময়ের জন্য ঢুঁ মেরে আসছেন বইমেলায়। আর ছুটির দিনে তো সব বয়সীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। প্রতিবারের মতো এবারও বইমেলার আকর্ষণ আরো বাড়িয়ে তুলছেন চিত্রশিল্পীরা।

মেলায় আসা বইপ্রেমীদের অনেকেই চিত্রকর্মের ভক্ত। অনেকে প্রিয়জন-স্বজনের ছবি এঁকেও বাঁধিয়ে রাখতে চান। বইমেলায় আসা মানুষগুলোর আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছেন চিত্রশিল্পীরা। মুহূর্তেই মেলায় আসা দর্শনার্থীদের নান্দনিক ছবি এঁকে দিচ্ছেন তারা।

শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের বইমেলায় দেখা গেছে চিত্রশিল্পীদের ছবি আঁকাআঁকির দৃশ্য। টিএসসির পাশ দিয়ে বইমেলায় ঢুকতেই দেখা মেলে ১০-১৫ জন চিত্রশিল্পীর। প্রতিদিন মেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অবস্থান করেন তারা। দেখা যায়, কেউ নিজের, কেউ বাবা-মা, সন্তান কিংবা প্রিয়জনের ছবি এঁকে নিচ্ছেন।

চিত্রশিল্পীরা জানান, বইমেলায় ছবি আঁকার জন্য ২৫ জনের বেশি চিত্রশিল্পী অনুমতি নিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ জন কাজ করেন। সবাই ৩-৫টি ছবি আঁকতে পারেন প্রতিদিন। ছবি এঁকে নিতে খরচ পড়ে ৫০০-১০০০ টাকা। ছবির আকার অনুযায়ী খরচ নির্ভর করে। একজন শিল্পীর দিনে আয় হয় ১৫০০-৩০০০ টাকা। ছুটির দিনে আয় বেড়ে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত হয়।

চিত্রশিল্পী এম এ আজিজ বলেন, ছুটির দিনে লোকজনের চাপ কিছুটা বেশি থাকে। অনেকে নিজের বা সঙ্গে নিয়ে আসা প্রিয়জনের ছবি এঁকে নেন। কেউ আবার ছবি নিয়ে এসে এঁকে দিতে বলেন।

এক নারী দর্শনার্থী বলেন, বইমেলায় ঢুকেই দেখলাম ছবি আঁকার ব্যবস্থা রয়েছে। অনেক দিন ধরে ইচ্ছা ছিল ছবি আঁকানোর। আজ চিত্রশিল্পীদের পেয়ে নিজের ছবি এঁকে নিলাম। বেশ ভালো লাগছে।

স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে বইমেলায় আসা একজন বলেন, বইমেলায় ঢুকেই দেখলাম কয়েকজন ছবি আঁকছেন। স্ত্রী-সন্তানরাও এটা দেখে ছবি এঁকে নিতে চাইল। তাদের বসিয়ে দিয়ে আমি দেখছি। বেশ ভালোই লাগছে ছবিগুলো। বাচ্চারাও বেশ উপভোগ করছে।

দৈনিক সরোবর/এমকে