যেভাবে ইসবগুল খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার মেলে
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৬:৫৪ বিকাল
ঠিকমতো পেট পরিষ্কার না হলে অনেকেই ইসবগুল খেয়ে থাকেন। এটি এমন এক প্রাকৃতিক ওষুধ যা নিমেষে পেট সাফাই করে দেয়। তবে কেবল পেট পরিষ্কারই নয়, ইসবগুলের আরও অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ রয়েছে।
ইসবগুলের পুষ্টিগুণ
এক টেবিল চামচ ইসবগুলে থাকে ৫৩ শতাংশ ক্যালোরি, ১৫ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৫ গ্রাম শর্করা, ৩০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ০.৯ মিলিগ্রাম আয়রন। এর মধ্যে কোনো প্রকার ফ্যাট থাকে না। তাই এটি খেলে শরীরে কোনো সমস্যা দেখা দেয় না।
ইসবগুল খাওয়ার নিয়ম
প্রত্যেকদিন ১ টেবিল চামচ করে দিনে ৩ বার ইসবগুল খেতে পারেন। তবে গরম পানিতে গুলে খেলে সব থেকে বেশি উপকার পাবেন। অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য রাতেও ইসবগুল খেয়ে থাকেন।
তবে যারা প্রথম প্রথম ইসবগুল খাবেন, তারা দিনে তিনবার খাবেন না। প্রথমে একবার খাবেন, ধীরে ধীরে খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
ইসবগুল কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরল
কোলেস্টেরল প্রধানত দুই রকমের হয়। একটি ভালো কোলেস্টেরল এবং একটি খারাপ। এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি নিয়ন্ত্রণে না রাখা যায় তাহলে বিপদ হতে পারে। ইসবগুল খেলে মানুষের অন্ত্রে একটি পাতলা স্তর তৈরি হয়, ফলে শরীর খারাপ কোলেস্টেরল শোষণ করতে পারে না। মলের সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরল বেরিয়ে যায়।
সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে জানা গেছে, যেসব মানুষ ওষুধ খান তাদের শরীর থেকে যত পরিমাণ খারাপ কোলেস্টেরল কমেছে তার থেকে অনেক তাড়াতাড়ি খারাপ কোলেস্টরেল কমে গেছে যারা প্রতিদিন ইসবগুল খান। যেখানে ওষুধ খাওয়া ব্যক্তিদের শরীরে ৮.৭ শতাংশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমেছে, সেখানে ইসবগুল খাওয়ার ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমেছে ৯.৭ শতাংশ।
ইসবগুলের অন্যান্য উপকার
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগলে রোজ ইসবগুল খেতে পারেন। এছাড়া দইয়ের সঙ্গে ইসবগুল মিশিয়ে খেলে ডায়রিয়ার হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়। পাকস্থলীর ইনফেকশন সারাতে অথবা মলকে তরল করার জন্যও ইসবগুলের জুড়ি মেলা ভার। এতে থাকা ফাইবার হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করে।
দৈনিক সরোবর/ইএইচপি