ঢাকা, রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ১২ চৈত্র ১৪২৯

বিত্তশালীরাই সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে: প্রধানমন্ত্রী

সরোবর প্রতিবেদক  

 প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৩, ০৭:৩৫ বিকাল  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের বিত্তবানরাই সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে আমরা একটা জায়গায় ভুর্তকি দেবো সেটা হচ্ছে খাদ্য ও কৃষিতে। বাংলাদেশের মানুষের যাতে খাদ্যাভাব না হয়। সেজন্য কৃষি ও খাদ্যে ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ সামান্য একটু বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কিন্তু বিদ্যুৎ ব্যবহার করে বেশি বিত্তশালীরা। ঝাড়বাতি থেকে শুরু করে লিফট, সেই বিত্তশালীরাই বিদ্যুৎ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করে। তারাই সুফল ভোগ করে। আমার দরিদ্র মানুষেরা সামান্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করে।

ঢাকার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বুধবার বিকালে অমর একুশে বইমেলা-২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকার সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এসেছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। করোনাভাইরাস না এলে আমাদের এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থামতো না।

‘এর মধ্যে আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সারাবিশ্বে অর্থনীতিতে ধাক্কা লেগেছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়।

অনির্বাচিত সরকার এলে সংবিধান অশুদ্ধ হবে: প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে খুব জ্ঞানী-বিজ্ঞানী আছেন। তাদের মুখে শুনলাম, দুই-চার বছরের জন্য যদি অনির্বাচিত সরকার আসে, তাহলে তো মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না। কারা এগুলো বলেন? নিশ্চয়ই আপনারা বুঝতে পারছেন।’

‘২০০৭ সালে এসেছিল, এমন অনির্বাচিত সরকার আমরা দেখেছি। এদিক-ওদিক নানাভাবে দল করার চেষ্টা করছে। রাজনৈতিক নেতাদের খারাপভাবে উপস্থাপন করে অপকর্মের চেষ্টাও করেছেন। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া সংবিধান, অনির্বাচিত সরকার এলে সেটি অশুদ্ধ হবে।’

তরুণদের খেলাধুলা আর সংস্কৃতির দিকে মনোযোগী করতে হবে: তরুণ প্রজন্মকে খলাধুলা ও সংস্কৃতির দিকে যতবেশি মনোযোগি করা যাবে ততবেশি সৃজনশীল হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মকে সাহিত্যের দিকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদেরকে যত বেশি সাহিত্য, খেলাধুলা ও সংস্কৃতির দিকে আনা যাবে, তারা ততোটা সৃজনশীল হবে। খেলাধুলা ও সংস্কৃতির দিকে তাদেরকে ফিরিয়ে আনলে মাদক ও সন্ত্রাস থেকে দূরে থাকবে তারা।

সারাদেশে কালচারাল সেন্টার করা হয়েছে। জেলায় জেলায় বইমেলা করছি। এভাবে আমাদের বিভিন্ন দেশেও বইমেলা করার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। কূটনীতিকদের মাধ্যমে সেই ব্যবস্থাটা করা প্রয়োজন। এতে আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। সারাবিশ্বে বইমেলা করতে পারলে আমাদের সুনামও ছড়িয়ে পড়বে।