add

ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার: বাজুস

সরোবর প্রতিবেদক

 প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২, ১২:৪০ দুপুর  

ফাইল ফটো

দেশে প্রায় প্রতিদিন ২০০ কোটি টাকার স্বর্ণ চোরাচালান হয়। যা বছরে প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)। 

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাজুস নেতারা।

বাজুসের চেয়ারম্যান এনামুল হক খান দোলন বলেন, প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ত-ঘামে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার করে প্রতিদিন সারাদেশের জল, স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২০০ কোটি টাকার অবৈধ স্বর্ণালংকার চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আসছে। ৩৬৫ দিন বা এক বছর শেষে এ অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা। দেশে চলমান ডলার সংকটে বিপুল পরিমাণ অর্থের এই পাচার ও চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

এ সময় তিনি বাজুসের পক্ষে কয়েকটি প্রস্তাব তুলে ধরেন।

প্রস্তাবগুলো হলো- স্বর্ণ চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করতে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে পৃথকভাবে সরকারি, মনিটরিং সেল গঠন। পাশাপাশি চোরাকারবারিদের দমনে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে আরো কঠোর আইন করতে হবে। এছাড়াও ব্যাগেজ রুলের আওতায় স্বর্ণের বার ও অলঙ্কার আনার সুবিধা অপব্যবহারের কারণে ডলার সংকট ও চোরাচালানে কী প্রভাব পড়ছে, তা জানতে বাজুসকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডেকে (এনবিআর) সমীক্ষা পরিচালনার প্রস্তাব।

বাজুস নেতারা বলেন, দেশে অবৈধভাবে আসা স্বর্ণের সিকিভাগ বা ২৫ শতাংশও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর নজরে আসছে না। ফলে অনেকটা নির্বিঘ্নে নিরাপদে দেশে আসছে চোরাচালানের বিপুল পরিমাণ সোনার চালান। আবার একইভাবে পাচারও হচ্ছে। বাংলাদেশ যে স্বর্ণ চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, এটা এখন কথার কথা নয়। বরং বর্তমান বাস্তবতায় তা প্রতিষ্ঠিত সত্য।

দৈনিক সরোবর/এমকে