ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

২০৩০ সাল নাগাদ ৩৪ কোটি নারী বসবাস করবে দারিদ্র্যসীমার নিচে

সরোবর ডেস্ক 

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২৩, ০৫:১৮ বিকাল  

ছবি ইন্টারনেট

চলমান প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালেও চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করবে বিশ্বের অন্তত ৩৪ কোটি নারী ও কন্যাশিশু, যা বিশ্বের মোট নারী জনসংখ্যার প্রায় ৮ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (৭সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের নারীবিষয়ক সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা জানানো হয়েছে। এ তথ্য জানা গেছে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে। 

জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে দারিদ্র্য দূর করতে জাতিসংঘ গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার আওতায় লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের মতো বিষয়গুলো যেভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হয়েছে, তা খুবই হতাশাজনক। বৈশ্বিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও পরিপূর্ণভাবে লিঙ্গ সমতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে দেশগুলো। এর ফলে নারী এবং কন্যাশিশুরা আরো পিছিয়ে পড়েছে। 

বিশ্বজুড়ে লিঙ্গবৈষম্যের কারণে আয়বৈষম্য এখনো দূর হয়নি উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, কোনো একটি কাজের জন্য যখন একজন পুরুষ ১ ডলার পান, সেই একই কাজের জন্য একজন নারীকে দেওয়া হয় মাত্র ৫১ সেন্ট। তাই সব মিলিয়ে যদি বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকে, তাহলে বিশ্বের প্রতি চারজন নারীর মধ্যে অন্তত একজন মাঝারি কিংবা তীব্র খাদ্যসংকটের মুখোমুখি হবেন। 
 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের যে প্রবণতা বিদ্যমান, সেভাবে চলতে থাকলে পরবর্তী প্রজন্মের নারীদের পুরুষদের তুলনায় দৈনিক ২ দশমিক ৩ ঘণ্টা বেশি বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করতে হবে এবং এসব কাজ অধিকাংশই গৃহস্থালির। 

ইউএন উইমেনের এই প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো নারীদের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুসারে, চলতি শতকের মাঝামাঝি নাগাদ ১৫ কোটি ৮৩ লাখ নারী ও কন্যাশিশুকে দারিদ্র্যের মুখে ঠেলে দেবে, যা পুরুষ ও কিশোরদের তুলনায় ১ কোটি ৬০ লাখ বেশি। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে ২৩ কোটি ৬০ লাখ নারী ও কন্যাশিশু খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে, যা কিনা পুরুষের তুলনায় ১৩ কোটি ১০ লাখ বেশি। ‍ৃ

২০২২ সালে বিশ্বে ৬১ কোটি ৪০ লাখ নারী বিভিন্ন সহিসংতাসংশ্লিষ্ট ঘটনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি জাতিসংঘের, যা ২০১৭ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া, প্রায় ১১ কোটি কন্যাশিশু ২০৩০ সাল নাগাদ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে।

দৈনিক সরোবর/এএস