ঢাকা, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১

জাপানে ১২ লাখ বৃদ্ধ ব্যবসায়ীর কোনো উত্তরাধিকারী নেই

সরোবর ডেস্ক 

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৩, ০৭:৫১ বিকাল  

ছবি: ইন্টারনেট

২০২২ সালে জাপানের জনসংখ্যা কমে গেছে প্রায় আট লাখ। এর মধ্যে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দেশটির ৪৭টি অঞ্চলেই একযোগে জনসংখ্যা কমার ঘটনার ঘটেছে। গত জুলাইয়ে জাপানি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রকাশিত পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এ ধরনের আরও কিছু উদ্বেগজনক তথ্য।

জনসংখ্যার এই পরিস্থিতিকে সংকট হিসেবে উল্লেখ করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী। যদিও এখন পর্যন্ত জনসংখ্যা হ্রাস ঠেকাতে দেশটির সরকার ব্যর্থই বলা চলে।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সালে জাপানে রেকর্ড ১৫ লাখ ৬০ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। বিপরীতে, জন্ম নিয়েছে মাত্র ৭ লাখ ৭১ হাজার শিশু। দেশটির ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো নবজাতক শিশুর সংখ্যা আট লাখের নিচে নেমেছে।

গত বছর রেকর্ড সংখ্যক বিদেশি বাসিন্দা গ্রহণও জাপানের জনসংখ্যা কমার প্রবণতা আটকাতে পারেনি। এ নিয়ে টানা ১৪ বছর কমে দেশটির জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ২৪ লাখে।

জাপানে একদিকে শিশুর জন্মহার কমছে, অন্যদিকে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বাড়ছে। এই পরিস্থিতি সেখানকার সমাজের প্রায় প্রতিটি দিককেই প্রভাবিত করেছে।

জাপানে বর্তমানে ১২ লাখের বেশি বৃদ্ধ ব্যবসায়ী রয়েছেন, যাদের কোনো উত্তরাধিকারী নেই। তাদের সবার বয়সই ৭০ বছরের কাছাকাছি। অর্থাৎ, এসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মারা গেলে তাদের সম্পত্তির কোনো দাবিদার থাকবে না।

বয়স্ক জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাবে বদলে গেছে জাপানি স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোর বিজ্ঞাপনের ধারা। সেখানে বয়স্ক দর্শকদের কথা মাথায় রেখে প্রচার করা হচ্ছে শেষকৃত্য সার্ভিসের নানা সেবা, ব্যথা দূর করার ক্রিম, এমনকি বড় ডায়াপারের বিজ্ঞাপন।

বাদ পড়েনি জাপানের আন্ডারওয়ার্ল্ডও। দেশটির সিংহভাগ ইয়াকুজা (আন্তর্জাতিক অপরাধ সিন্ডিকেট) সদস্যের বয়স এখন ৫০ বছরের ঊর্ধ্বে। সেখানে তরুণ গ্যাংস্টারের তুলনায় ৭০ বছর বয়সোধার্ধ্ব গ্যাংস্টারের সংখ্যাই এখন বেশি।

জনসংখ্যার এই সংকট মোকাবিলায় গত ১ এপ্রিল নতুন শিশু ও পরিবার সংস্থা চালু করেছে জাপান। এছাড়া, শিশুর যত্ন সম্পর্কিত ভর্তুকি এবং ভাতা দ্বিগুণ বাড়িয়ে জিডিপির চার শতাংশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটির সরকার। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

দৈনিক সরোবর/এমএইস