সিবিএফসি থেকে ‘ইমারজেন্সি’ মুক্তির সবুজ সংকেত

গেল ক’দিন ‘ইমারজেন্সি’ মুক্তি নিয়ে যে ধকল পোহাতে হলো বলিউড বিদ্রোহী কঙ্গনাকে, সেটা তিনি কল্পনাও করেননি। যিনি বরাবরই ‘উচিত কথা’র জোরে দমিয়ে রাখতেন পুরো ইন্ডাস্ট্রিকে। সেই কঙ্গনাই কিনা রীতিমতো নাজেহাল হলেন পদে পদে। ছবিটি মুক্তির তারিখ চূড়ান্ত করে প্রচারণায় নেমেও ছাড়পত্রের অভাবে সব ভেস্তে গেলো। দৌড়ালেন উচ্চ আদালত পর্যন্ত। তাতেও কঙ্গনার জ্বর নামলো না। 

তবে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (সিবিএফসি) থেকে এবার সেই ছবিটি মুক্তির সবুজ সংকেত পেল। যেন ঘাম দিয়ে কঙ্গনার শরীর থেকে জ্বরটা নামলো এবার!

সিবিএফসি রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্দিষ্ট শর্ত সাপেক্ষে ছবিটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। নির্মাতাদের কিছু দৃশ্য সম্পাদনা করতে এবং কয়েকটি সিকোয়েন্সে জন্য ‘ডিসক্লেইমার’ দিতে বলা হয়েছে।

একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিবিএফসি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের ছবিতে দেখানো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলির সময় ডিসক্লেইমার দিতে বলেছে। তবে ছবির মুক্তির তারিখ এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর ছবিটি মুক্তির কথা ছিলো। 

বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন অনুসারে, ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমাটিকে ৮ জুলাই বোর্ডের কাছে পর্যালোচনার জন্য জমা দেওয়া হয়েছিল। তবে ছবির ছাড়পত্র পেতে দেরি হওয়ায় এটি নির্ধারিত দিন ৬ সেপ্টেম্বর মুক্তি থেকে পিছিয়ে যায়।

১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত ভারতে জারি হওয়া ২১ মাসের জরুরি অবস্থা নিয়ে এই সিনেমা। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা রনৌত। ছবিটির চিত্রনাট্যকার, পরিচালক ও প্রযোজকও তিনিই।

ছবিতে আরো অভিনয় করেছেন অনুপম খের, মহিমা চৌধুরী, মিলিন্দ সোমান, শ্রেয়স তলপাড়ে এবং প্রয়াত সতীশ কৌশিক।

সেন্সরবোর্ড থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার বিলম্ব ছাড়াও, ছবিটি শিখ সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছে। বিভিন্ন শিখ সংগঠন ছবিটি নিষিদ্ধ করার দাবি জানাতে শুরু করে গত মাস থেকেই। তবে সব ছাপিয়ে শর্ত সাপেক্ষে ছবিটি এবার মুক্তির পথে একধাপ এগিয়ে গেলো। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

দৈনিক সরোবর/এমই