ঢাকা, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

কোটা আন্দোলনে হামলার নিন্দা আরো তারকার

বিনোদন ডেস্ক

 প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২৪, ০৫:১১ বিকাল  

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দার ঝড় বইছে। হামলাকারীদের শাস্তিসহ কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।

হামলায় আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের ছবি-ভিডিও মুহূর্তের মধ্যেই ঝড় তোলে ইন্টারনেট দুনিয়ায়। ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সরব হন তারকারাও। কাপুরুষোচিত এই হামলার নিন্দা জানান তারা।

চলমান এই ইস্যুতে বেশ সরব দেশের শোবিজ অঙ্গন। তবে বিশকিছু তারকাদের দেখা গেছে তারা নিশ্চুপ থাকার পরে হঠাৎ করেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছে।

অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা মিম এক পোস্ট করে লিখেছেন, ‘অবসান হোক চলমান সহিংসতার। দেশ পরিপূর্ণ থাকুক শান্তিতে সমৃদ্ধিতে এই কামনা আমাদের সকলের।’

তার এ পোস্টকে ঘিরে চলেছে সমালোচনার ঝড়। অনেকেই বলছে এসব পোস্ট এখন দায় সারা। শিক্ষার্থীদের প্রতি যে হামলা চালাচ্ছে হচ্ছে তা নিয়ে তেমন কোন কথা বলছে না দেশের তারকারা।

বিদ্যা সিনহা মিমের পোস্টের কমেন্ট বক্সে নাজনিন কাকন লিখেছেন, ‘খুব সময় উপযোগী পোস্ট। আপনি ইউনিসেফ এর অ্যাম্বাসেডর, অথচ আপনি  ব্যাপারটা সামনে আনেন নাই। আপনাদেরকে আমরা মনে রাখবো।’

জাসমিন নিরা নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর ভাষ্য, ‘আপনি অনেক চালাক। কোনো সাইড চুজ না করে একটা স্টেটমেন্ট দিলেন। নিজের কোনো অবস্থান না জানিয়ে দুই নৌকায় পা দিলেন।’

আরেক অভিনেত্রী পাসরা ইভানা তার ফেসবুক পেজে এক পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি লিখেছেন, ‘প্রাণের শহর আজ রক্তের শহর হয়ে গেল কেন?’। এ পোস্ট করার পর কমেন্ট বক্সে ভক্ত-অনুরাগীর বেশ সমালোচনা করেছেন।

রাশেদ চৌধুরী নামে এক ভক্ত লিখেছেন, ‘অনেকদিন পর মনে হয় ঘুম থেকে উঠছেন।’ রহমাতুল্লাহ হৃদয় নামে আরেকজন লিখেছেন, ‘আজ হইলো? আপনি এতদিন কোথায় ছিলেন? স্লিপিং পিল কোনটা নেন? আমাদেরও সাজেস্ট করেন। সরকার কে খাইয়ে দিবো।’

উল্লেখ্য, গত রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মন্তব্য করেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’

প্রধানমন্ত্রীর এ মন্তব্যে ক্ষিপ্ত হন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তারা ধরে নিয়েছেন ‘রাজাকারের নাতিপুতি’ তাদেরকেই বলা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি ও কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে রোববার মধ্যরাত থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।