কুবির তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদকে চিঠি দিলো অভিযুক্ত নয়জন
প্রকাশিত: জানুয়ারী ৩১, ২০২৩, ০৮:০৬ রাত

ছবি: প্রতিনিধি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পরিষদের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে একমত নয় জানিয়ে সভাপতি/ সাধারণ সম্পাদক বরাবর চিঠি দিয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে সদস্য পদ ও ভোটাধিকার বাতিল হওয়া আটজন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ও একজন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী।
গত ৩০ জানুয়ারি নয়জনের স্বাক্ষরে দেয়া চিঠিতে তারা সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের দেয়া সিদ্ধান্তকে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী বলেছেন।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ভোটাধিকার ও সদস্যপদ বাতিল হওয়া কর্মচারীরা মনে করছেন উক্ত সাধারণ বিজ্ঞপ্তিতে ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের ০৮ (আট) জন সদস্য ও ০১ (এক) জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর বিষয়ে যে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এই বিষটি মিথ্যা ও উদ্দ্যশ্যপ্রণোদিত।
চিঠিতে আরো বলা হয়, সাংগঠনিক বিশৃঙ্খলা রোধে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, সে তদন্ত কমিটি কোন সাধারণ সভার মাধ্যমে গঠন করা হয়নি বা এই বিষয়ে পরিষদের পক্ষ থেকে সাধারণ সদস্যদের লিখিত ভাবেও জানানো হয়নি। তদন্ত কমিটি নয়জন কর্মচারীর সাক্ষাৎকার বা জবানবন্ধী নেওয়ার জন্য কোন মাধ্যমে যোগাযোগ করেনি । তবুও এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে নয়জন সদস্যকে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে। কোন সাধারণ সভা না ডেকে নয়জনের বিষয়ে অভিযোগ এনে পরিষদের সদস্য পদ বাতিল এবং নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না মর্মে যে শাস্তি প্রদান করা হয়েছে তা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী ও অগণতান্ত্রিক।
এ বিষয়ে পরিষদের সাবেক সহ-সভাপতি এ.কে.এম. কামরুল হাসান বলেন, ‘আমাদের ব্যাপারে কর্মচারী পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা একেবারেই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমরা তবুও পরিষদ বরাবর চিঠি দিয়েছি যেন আমাদের শাস্তি পুনঃবিবেচনা করে। আমরা চাই গঠন্তন্ত্র এবং নিয়ম মেনে আমাদের বিষয় বিবেচনা করা হোক এবং সবাইকে স্বাধীনভাবে নির্বাচন করার অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হোক।’
কর্মচারী পরিষদের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মোঃ মুহসিন বলেন, ‘আমরা গঠনতন্ত্র মেনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷ নিয়মবহির্ভুত কোন সিদ্ধান্ত আমরা নেই নি। সমিতির সকলের সম্মতিক্রমে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে কার্যকরী পরিষদের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ২৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে নয়জনের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ বিভিন্ন মেয়াদে তাদের ভোটাধিকার ও সদস্য পদ স্থগিত করা হয়েছিল। অভিযুক্তরা হলেন- অফিস সহকারী কাম ডাটা প্রসেসর এ.কে.এম. কামরুল হাসান, ল্যাব এ্যাসিসটেন্ট নাছির উদ্দিন,মোঃ আব্দুল আওয়াল,অফিস সহকারী কাম ডাটা প্রসেসর মোঃ জিয়াউর রহমান,মোঃ হাবিবুর রহমান,মোঃ আব্দুল কাদের, ড্রাইভার গ্রেড-২ মোঃ শাহিনুর রহমান, ডেসপার্স ক্লার্ক মোঃ আবুল বাসার, বাগান মালী মোঃ শামছু মিয়া।
দৈনিক সরোবর/ আরএস