বৈষম্যমুক্তে প্রয়োজন ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ
সম্পাদকের কলম
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৪, ১০:৫৮ দুপুর
আমাদের বিশ্বাস, অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন গোষ্ঠীর দাবি-দাওয়া পূরণ, মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে জনজীবনে স্বস্তি আনা, আর্থিক খাত শক্ত ও মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো, উদার ও স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পথে দেশকে নিয়ে যেতে পারবে। বাংলাদেশের সমাজে দীর্ঘদিন ধরে আর্থিক, লিঙ্গ, শিক্ষাগত ও সামাজিক বৈষম্য বিদ্যমান। তা দূরীকরণে সরকার ও সাধারণ জনগণকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং গ্রামীণ ও শহরের শিক্ষার মধ্যে বিদ্যমান পার্থক্য দূর করা প্রয়োজন। এই সরকার কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পারে। এছাড়া সরকারি চাকরিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। সব শ্রেণির মানুষের যাতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে, এ জন্য আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ করতে হবে। অন্যদিকে নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রতিরোধেও কঠোর আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ নিশ্চিত করা দরকার।
বলার অপেক্ষা রাখে না, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে আমরা আশা রাখি। সব মিলিয়ে একটি সমন্বিত ও ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি। সরকার মানবিক সমাজ গড়ে তোলার পথ তৈরিতে সচেষ্ট থাকবে। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে নতুন পথে পরিচালিত করাটা নির্ভর করছে বিপ্লবের নেতৃত্ব, জনগণের অংশগ্রহণ এবং দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটের ওপর। যদি তা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।