ঢাকা, শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩০

নাশকতার ভিডিও শীর্ষ নেতাদের পাঠাতেন ছাত্রদল: র‌্যাব

সরোবর প্রতিবেদক  

 প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২৩, ০৩:৪১ দুপুর  

নারায়ণগঞ্জ ছাত্রদলের দুই নেতাকে নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। এরপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। দলের অন্যদের নাশকতায় প্ররোচিত করতে যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পর ভিডিও ধারণ করে তা বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করতেন দিতেন তারা। এছাড়া দলে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ও দলের প্রতি নিজেদের আস্থার প্রতিদান দিতে নাশকতার ভিডিও দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে পাঠাতেন।

শনিবার ভোরে কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি আবু তালেব মাসুম এবং একই জেলার জিয়া মঞ্চের সভাপতি জজ মিয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ডাকা হয় এলিট ফোর্সটির পক্ষ থেকে। সেখানে কথা বলেন র‌্যাবের মিডিয়া বিভাগের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি জানান, গ্রেফতার মাসুম ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশে উপস্থিত থেকে নাশকতায় সরাসরি অংশ নেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার অন্যতম হোতা তিনি। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। মাসুমের নামে প্রায় ১৫টি মামলা রয়েছে। তবে তিনি এসব মামলায় এতদিন পলাতক ছিলেন।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আরও জানান, দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশনায় গ্রেফতার মাসুমের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সময়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় সহিংসতা ও নাশকতা চালানো হয়। মাসুম ২৮ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন এলাকায় সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকায় আসেন। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা পল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় গণপরিবহন, ব্যক্তিগত যানবাহনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অপচেষ্টা চালায়। এসময় তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপরও হামলা চালায়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ফিরে আসেন।

র‌্যাব আরো জানায়, মাসুম শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকার বিভিন্ন মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে রাস্তা অবরোধ করে নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা করেন। মাসুমের পরিকল্পনা অনুযায়ী তার অনুসারীরা লাঠিসোটা হাতে মিছিল করে শোডাউন দিয়ে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাসের সৃষ্টি করে রাস্তা অবরোধ করে গণপরিবহন, ব্যক্তিগত পরিবহনসহ বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে নাশকতা ও সহিংসতার তাণ্ডবলীলা চালায়।

দৈনিক সরোবর/এএস