ঢাকা, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১

সামান্য বৃষ্টিতেই হাটু পানি ডিসি এসপি’র গেটে 

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

 প্রকাশিত: জুন ২২, ২০২৩, ০৮:৩৪ রাত  

ছবি: প্রতিনিধি

সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটু পানি জমে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ের মুল ফটকে। জেলার সর্বোচ্চ পর্যায়ের দুইজন সরকারী কর্মকর্তার গুরুত্বপূর্ন এ দুই দফতরের প্রধান ফটকে পানি জমে থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সেবা প্রদানকারী, গ্রহীতা ও সাধারন পথচারীদের।

জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় একশত কিলোমিটার লম্বা জেলা লালমনিরহাট। জেলার মাঝ দিয়ে চলে গেছে বুড়িমারী লালমনিরহাট মহাসড়ক। জেলার ৫টি উপজেলার উপর দিয়ে লম্বালম্বী ভাবে এ মহাসড়কটি রয়েছে। একশত কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কের পূর্ব কর্ণারে রয়েছে জেলা সদর। জেলা সদর থেকে পশ্চিমে মহাসড়ক বেয়ে গেলেই জেলার ৫টি উপজেলা পরিষদের অবস্থান।

লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের পাশেই রয়েছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং অপর প্রান্তে রয়েছে পুলিশ সুপার কার্যালয়, সরকারী লালমনিরহাট কলেজ ও ডিসি এসপি সিভিল সার্জন বাসভবন। এর পাশেই রয়েছে বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপকের বাসভবন, বিজিবি অধিনায়কের বাসভবন। মুলত এ মহাসড়কটি লাগোয়া সকল ভবনই জেলার সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অফিস ও বাসভবন।

মহাসড়কটির এই গুরুত্বপুর্ন স্থানে পানি জমে থাকায় মহাসড়কেও খানাখন্দরে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে প্রায় সময় ঘটতেছে দুর্ঘটনা। জনগুরুত্বপূর্ন দফতরগুলোতে আসা সেবা গ্রহীতা, সেবা প্রদানকারী ও সাধারন পথচারীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এমন দুর্ভোগ বয়ে চললেও কোন প্রতিকার নেই সংশ্লিষ্ট দফতরের।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ময়লা পানি মাড়িয়ে ডিসি অফিসে যেতে হয়। দীর্ঘ দিন ধরে এ অবস্থায় চললেও কোন প্রতিকার নেই। বড় কর্মকর্তারা তো গাড়িতে চড়ে যান তারা তো জনগনের দুর্ভোগ বুঝেন না। যে অফিস থেকে জেলায় আলো জ্বালানোর কথা তার গেটেই হাটু পানি। এ যেন, বাতির নিচে অন্ধকার।’

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যা  বলেন, ‘এ অবস্থা দীর্ঘ দিনের। আমি যোগদানের পর এমন অবস্থা দেখে সড়ক জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও পৌর মেয়রকে কয়েক দফায় বলেছি। পানি নিস্কাশনে ড্রেনসহ মহাসড়ক সংস্কারের প্রকল্প নিয়েছেন দফতরটি। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু না করায় দুর্ভোগ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। কাজটা সমাপ্ত করলে দুর্ভোগ থাকবে না।’

দৈনিক সরোবর/আরএস