ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৬ আশ্বিন ১৪৩০

এডিসি হারুন গাঁথা

তদন্ত কমিটি সময় চাইলো আরো সাতদিন

সরোবর প্রতিবেদক  

 প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৭:৩০ বিকাল  

সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আরো সাত দিন সময় চাওয়া হয়েছে। শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সদস্য মঙ্গলবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার সময় বাড়ানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

৯ সেপ্টেম্বর রাতে বারডেম হাসপাতাল থেকে তুলে শাহবাগ থানায় নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে পুলিশের রমনা বিভাগের তখনকার অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে। এর জেরে ওইদিন রাতেই শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে মীমাংসা করেন। আহত ছাত্রলীগ নেতাদের থানায় নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে সরিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে। একই দিন সন্ধ্যায় তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয় বলেও জানানো হয়। পরের দিন ১১ সেপ্টেম্বর বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সবশেষ তাকে পুলিশের রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ১১ সেপ্টেম্বর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে ডিএমপি। কমিটির সভাপতি ডিএমপি সদর দফতরের উপপুলিশ কমিশনার (অপারেশনস) আবু ইউসুফ। অপর দুই সদস্য হলেন রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (নিউমার্কেট জোন) শাহেন শাহ এবং অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা-মতিঝিল বিভাগ) মো. রফিকুল ইসলাম। এই তদন্ত কমিটির ১৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দেওয়ার কথা ছিল। ওই দিন তদন্ত শেষ করতে না পারায় ডিএমপি কমিশনারের কাছে আরো পাঁচ দিন সময় চায় কমিটি। তাদের সময় দেওয়া হয়।  মঙ্গলবার  ডিএমপি কমিশনারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। কিন্তু কমিটি আরো সাতদিন সময় চেয়েছে।

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় যাদের যতটুকু দায় পাওয়া গেছে, তদন্ত প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ঘটনার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সব উল্লেখ করা হয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

ঢাবি ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ডিএমপির ক্রাইম বিভাগে অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিনের সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন এডিসি হারুন। ওই সময় এডিসি সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক মামুন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। এসময় তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাক-বিতণ্ডা হয়।

পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান। সেখানে তাদের ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দৈনিক সরোবর/এএস